পোস্টাল ক্যাশ কার্ডঃ
আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে কাগজী মুদ্রার পাশাপাশি লেনদেনের মাধ্যম হিসেবে প্লাস্টিক মানি তথা কার্ডের ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বত্বপূর্ণ মাইলফলক রচনা এবং সেই সাথে বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ এর বাস্তবায়নকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিতে ডাক বিভাগ পোস্টাল ক্যাশকার্ড চালু করেছে। ২৬ শে মার্চ, ২০১০ খ্রিঃ তারিখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী পোস্টাল ক্যাশকার্ড উদ্বোধন করেন এবং ১ জুলাই, ২০১১ খ্রিঃ তারিখ হতে ক্যাশ কার্ডের বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ৫০ হাজার গ্রাহক এ সেবা গ্রহণ করছেন। কিউ ক্যাশ নেটওয়ার্কের আওতাধীন ২৬ টি ব্যাংকের ১৪০০ টি এটিএম বুথে পোস্টাল ক্যাশকার্ড সেবা চালু আছে। এ সার্ভিসের আওতায় ঢাকা শহরে ৮ টি ও অন্যান্য জেলা শহরে ৭ টি সোনালী-বিপিও কো-ব্রান্ডেড এটিএম বুথ চালূ করা হয়েছে। বাংলাদেশের সকল জেলা/উপজেলা পোস্ট অফিসসহ বিভাগীয় গুরুত্বপূর্ণ সাব পোস্টঅফিস সমূহের ১ হাজার ৩৭৪ টি অফিসে পিওএস (POS) মেশিন এর মাধ্যমে পোস্টাল ক্যাশকার্ড সেবা চালু আছে। বর্তমানে ৮৫০০ পোস্ট ই-সেন্টারে পোস্টাল ক্যাশকার্ড সার্ভিস সম্প্রসারণের কাজ চলমান আছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীনে পরিচালিত পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের পুষ্টি ও শিক্ষা নিশ্চিকরন শীর্ষক ‘‘সিসিটি’’ প্রকল্পের আওতায় মোট ১৪ হাজার ১২৭ জন সুবিধাভোগী পরিবারকে পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে ১৩ কোটি ৭১ লক্ষ ৭ হাজার ২৭০ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
পোস্টাল ক্যাশকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরন ও উক্ত উপস্থিতির ভিত্তিতে ভাতাভোগী শ্রমিকদের কার্ডে ভাতা প্রদান করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত‘‘অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি)’’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ৯৯৮৭ জন উপকারভোগীকে মোট ৮ কোটি ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে। বর্তমানে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় ‘‘ইজিপিপি’’ প্রকল্পের মাধ্যমে উপকারভোগীদের ভাতা প্রদান করা হচ্ছে।
Food and Agriculture Organization (FAO) of the United Nations এর অর্থায়নে ২১৭১ জন সুবিধাভোগী প্রান্তিক কৃষককে পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ ভাতা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এছাড়া Food and Agriculture Organization (FAO) of the United Nations এর অর্থায়নে বাংলাদেশ ফরেস্ট ইনভেন্টরী ইপ্লিমেনেটশন এ কর্মরত ৮২ জন কর্মীদের অর্থ প্রদান করা হচ্ছে।
UNDP এর অর্থায়নে স্থানীয় সরকার বিভাগের সহায়তায় Strengthening Women’s Ability for Productive New Opportunities (SWAPNO) Project এর মাধ্যমে অতিদরিদ্র নারী এবং তাদের পরিবারের দারিদ্রতা দূরীকরণে, জীবিকা ও জীবন দক্ষতার উন্নয়নের মাধ্যমে ২১৬ জন সুবিধাভোগীকে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
বর্তমানে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজ সেবা অধিদপ্তরের অধীনে পাইলট ভিত্তিতে পোস্টাল ক্যাশকার্ডের মাধ্যমে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর উপজেলায়, ময়মনসিংহ জেলার হালুয়াঘাট উপজেলায়, পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলায়, কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলায়, রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলায়, বরগুনা সদর উপজেলায়, সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই উপজেলায়, বাগেরহাট জেলার মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতা, অস্বচছল প্রতিবন্ধী ভাতা এবং বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা মহিলা ভাতা বিতরণ করা হচ্ছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়নাধীন ‘‘Income Support Program for the Poorest (ISPP)” - যত্ন প্রকল্পের মাধ্যমে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও জামালপুর জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লারমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার ৪৩ টি উপজেলার ৪৪৩ টি ইউনিয়নের নিদিষ্ট সেবা গ্রহনের বিপরীতে নির্বাচিত উপকারভোগীগণকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থ সহায়তা প্রদান কাজ শুরুর লক্ষ্যে ইতিমধ্যে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ২ টি ইউনিয়ন যথাঃ চর ভুরুঙ্গামারী ও তিলাই ইউনিয়নের নির্বাচিত ৫১ জন উপকারভোগীগণের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতিতে অর্থ প্রদান কার্যক্রম স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় কর্তৃক উদ্বোধনের মাধ্যমে সম্প্রতি শুরু হয়েছে।
**পোস্টাল ক্যাশকার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চলের কর্মরত শ্রমিকদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরন ও উক্ত উপস্থিতির ভিত্তিতে ভাতাভোগী শ্রমিকদের কার্ডে ভাতা প্রদান করা হয়। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত‘‘Employment Generation Program for the Poorest (EGPP)’’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলায় এবং নীলফামারী জেলার সৈয়দপুর উপজেলায় ৯৯৮৭ জন উপকারভোগীকে মোট ৮ কোটি ১১ লক্ষ ৫৪ হাজার টাকা পোস্টাল ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে প্রদান করা হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক সরাসরি বাস্তবায়নাধীন ‘‘Income Support Program for the Poorest (ISPP)”- যত্ন শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে ময়মনসিংহ, শেরপুর ও জামালপুর জেলা এবং রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, লারমনিরহাট ও নীলফামারী জেলার ৪৩ টি উপজেলার ৪৪৩ টি ইউনিয়নের নিদিষ্ট সেবা গ্রহনের বিপরীতে নির্বাচিত উপকারভোগীগণকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থ সহায়তা প্রদানের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রকল্পের মূল কার্যক্রম হচ্ছে ৬,০০,০০০ (ছয় লক্ষ) উপকারভোগীগণকে (অন্তঃসত্ত্বা নারী ও ০-৫ বছর বয়সী শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা সেশনে অংশগ্রহণের বিপরীতে আর্থিক সুবিধা প্রদান। বর্তমানে চারটি পাইলট ইউনিয়নের প্রায় ৪৪১০ জন উপকারভোগীকে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অর্থ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে।
**এ সার্ভিসের আওতায় ঢাকা শহরে ৮ টি ও অন্যান্য জেলা শহরে ৭ টি সোনালী-বিপিও কো-ব্রান্ডেড এটিএম বুথ চালূ করা হয়েছে।